শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জ্ঞান অর্জন ও আলোচনা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কী?

যে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে আদ শিক্ষা বং কল্যাণমূলক জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভিন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয় ।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুই প্রকার :

১, জাগতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : যে সকল প্রতিষ্ঠান দুনিয়ার কল্যাণের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দেয় ।
২. ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : যে সকল প্রতিষ্ঠান আখেরাত অর্থাৎ পরকালের কল্যাণের জন্য ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দেয় ।

বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুই প্রকার :

১৯ আলিয়া মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: যা সরকারী খরচে ও নিয়ন্ত্রণে চলে । হাতে দ্বীনী ইলম শিক্ষার ব্যবস্থা সীমিত।
২. কওমী মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : যা জনগণের সাহায্য-সহযোগিতায়, হকানী ওলামায়ে কেরাম ছারা, দারুল উলূম
দেওবন্দ (ভারত)-এর শিক্ষা কারিকুলাম অনুসরণ ও অনুকরণ করে এবং যাতে দ্বীনী ইলম শিক্ষার সু-বযবস্থা আছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কী?

কওম অর্থ জাতি, আর কওমী অর্থ জাতীয়। মাদরাসা আরবী শব্দের অর্থ বিদ্যালয় সুতরাং কওমী মাদ্রাসা অর্থ জাতীয় বিদ্যালয়

কওমী মাদ্রাসা শিক্ষার উৎস

হযরত মহা্মদসাললা্লাু আলাইহি ওয়াসালাম যখন পৰি কা নগরী ূর পর্বতের হুহয় মানবজাতির কল্যাণে প্রভুর
ইবাদতে মশগুল ছিলেন, তখন আল্লাহ তা’আলা ফেরেশতা জিবরাঈল (আ.) এর মাধাে ‘ইকরা অর্থাৎ পড়ুন আপনার
প্রতিপালকের নামে, ঘন সৃষ্টি করেছেন, আপনার প্রতিপালক অভি মহান (সূরা আলাক: ১-৪)” এ জ্ঞানের সূচনা
করেন । অতঃপর মকা মুকাররমার দারে আকরামে, মদীনা ুনওযারায় এ ধারার বিস্তার ঘটে । অষ্টম শতাবীর শুরু
থেকে ইসলামী বিজয়, পরার ও সারের সাথ সাথে মদীনা সুনাওয়রাহ থেকে কুফা, বসরা, মিসর, দামেস্ক, বাগদাদ,
খোরাসান ও মধ্য এশিয়া দির প্রসারিত হয় ১৮৬৬ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশের অন্তত দেওবন্দ নামক
স্থানে তিহাবহী দারুল উম দেওবন্দ স্থাপন হয় পরবর্তীতে সমগ্র উপমহাদেশে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা ড় পড়ে ।

কওমী মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা

শিক্ষাই জাতির মের শিক্ষা জাতির উন্নতির সোপান। শিক্ষা জাতিকে মরখতার অন্ধকার থেকে আলোর দিকে
পধনি্দেশ করে। শিক্ষা মানুষকে সুন্দর, পরিমার্জিত ও আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তুলতে সাহায্য করে । তবে মানব
রচিত পাশ্চাত্য শিক্ষাব্যবস্থা কখনো মানব জীবনের সামখিক কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। একমাত্র আল্লাহ
তা’আালাপ্রদরত কুরআন ও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুনাহভিততিক ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাই
দুনিয়া ও আখেরাতে প্রকৃত সফলতা ও কামিয়াবী বয়ে আনতে পারে । এ জন্য আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা*আলা
প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ইসলামী শিক্ষা অর্জন করা ফরয করে দিয়েছেন। তবে জাগতিক জীবন
পরিচালনার জন্য সাধারণ জান অর্জন করাও অত্যাবশ্যক। এ জন্য কওমী মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর
পাঠসুচিতে বিশ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উল্ম দেওবন্দের অনুসরণ ও অনুকরণে এবং বাংলাদেশ কওমী
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পূর্ণাঙ্গ ইসলাম শিক্ষার পাঠাসুচিতেধমী় জান অর্জনের পাশাপাশি সাধারণ
জান অর্জনের প্রতি লক্য রেখে যুগ-উপযোগী একটি আদর্শ পাঠ্যসূচি নির্ধারণ করে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে
এতে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানের শাস্তি, সফলতা ও কামিয়াবী আসবে, ইনশা-আললাহ

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours